সর্বশেষ

মাঠের বাইরে নতুন দীক্ষাঃ ভারত ম্যাচে মাঠে নামার আগেই তামিমের সেঞ্চুরি

অনেকদিন ধরেই জাতীয় দলের জার্সিতে দেখা যাচ্ছে না তামিম ইকবালকে। তিনি আবার কবে ফিরবেন তা সঠিকভাবে বলা যাচ্ছে না। তামিমকে নিয়ে ক্রিকেট বিশ্বে চলছে নানা গুঞ্জন।এ সবের মাজেই সেঞ্চুরি করলেন তামিম। দেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটেও বড় ধরনের পরিবর্তন এনেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। শোনা যাচ্ছে নতুন কমিটিতে পরিচালক হতে পারেন দেশের সেরা এই ওপেনার।

তবে এসব গুজব উপেক্ষা করে ভারতে যান তামিম। সেখানে স্বাগতিক দলের বিপক্ষে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলবে টাইগাররা। বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) চেন্নাইয়ে অনুষ্ঠিত হবে সিরিজের প্রথম ম্যাচ। ওই ম্যাচে ধারাভাষ্য দেবেন দেশের সবচেয়ে সফল ব্যাটসম্যান।

গত বছর মিরপুরে বাংলাদেশ-নিউজিল্যান্ড টেস্টে প্রায় ১০ মিনিট অতিথি ধারাভাষ্যকার ছিলেন। তবে এবারই প্রথম পুরো সিরিজে ধারাভাষ্য দেবেন তিনি।

সেই উদ্দেশ্যে মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) ঢাকার উদ্দেশে রওনা হয়েছেন তামিম। চুক্তি স্বাক্ষরের আগে এবং প্রথমবারের মতো মন্তব্য করার আগে একটি অনলাইন মিডিয়ার সাথে ফোনালাপে নিজের অনুভূতির কথা বলতে গিয়ে তামিম বলেছিলেন যে নতুন ভূমিকায় মাঠে নামার আগে তিনি অনলাইন কোর্সের পাশাপাশি ক্লাসও করেছিলেন। এবং সে ক্লাসে সেঞ্চুরি করেছে দেশ সেরা এই অপেনার .১০০ তে ১০০ পেয়েছে তামিম ।

তামিম বলেন, ‌‘কিছুটা নার্ভাস আছি, নাভার্স লাগছে। খেলার সময়টায় ম্যাচের আগে নার্ভাস থাকতাম যে, খেলা কেমন হবে, রান করতে পারব কী পারব না, কোন বোলারকে কীভাবে সামলাব, দল ভালো করতে পারবে কি না। এখন হলো, কথা কীভাবে বলব, মাঠের মুহূর্তগুলোকে ঠিকঠাক তুলে ধরতে পারব কি না, বড় কোনো ভুল করে বসি কি না।’

কোর্স করার প্রসঙ্গে দেশ এই ওপেনার বলেন, ‘এই সিরিজের জন্য চুক্তিবদ্ধ হওয়ার পর তাই অনলাইনে কোর্স করার সিদ্ধান্ত নেই। আজকে (মঙ্গলবার) চেন্নাইয়ে এসেও একটা ক্লাস করেছি রাতে।’

‘ধারাভাষ্য ব্যাপারটা যতটা সহজ মনে হয়, তত সহজ নয়। তাৎক্ষণিক কথা বলার ব্যাপার তো আছেই, এছাড়াও প্রযুক্তিগত অনেক ব্যাপার আছে, মাইক্রোফোনের ব্যবহার, প্রডিউসারের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ, এসবের সঙ্গে অভ্যস্ততার ব্যাপার আছে। আমি ধরে নিয়েছি, এসবে অভ্যস্ত হতে দুই-তিন সিরিজ অন্তত লাগবে।’ যুক্ত করেন তিনি।

তামিম বলেন, ‘যাদের সঙ্গে আমি ধারাভাষ্যকক্ষে থাকব, সুনিল গাভাস্কার, রাভি শাস্ত্রী, হার্শা ভোগলে, উনারা তো ধারাভাষ্যের কিংবদন্তি। আমাদের আতহার ভাই ২০ বছরের বেশি সময় ধরে কাজটা করছেন। দিনেশ কার্তিক, মুরালি কার্তিকরাও এখন যথেষ্ট ভালো। তাদের কাছ থেকে অনেক কিছু শিখতে পারব। যদি ভবিষ্যতে নিয়মিত ধারাভাষ্য দেই, তাহলে এসব আমার কাজে লাগবে।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *