চেন্নাই টেস্টের সময় সাকিব আল হাসানের ইনজুরি নিয়ে শুরু হয়েছে আলোচনা। কানপুর টেস্টে তিনি একাদশে থাকবেন কিনা, তা নিয়ে রয়েছে শঙ্কা। এই বিষয়ে জাতীয় দলের নির্বাচক হান্নান সরকার গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেছেন।
প্রথম টেস্টে সাকিব বল হাতে কিছুটা নিষ্ক্রিয় ছিলেন; দুই ইনিংসে তিনি একটি উইকেটও নিতে পারেননি। তবে তার ইনজুরি নিয়েই বেশি আলোচনা হচ্ছে।
হান্নান সরকার সাকিবের ইনজুরি সম্পর্কে বলেন, “সাকিবকে নিয়ে ম্যাচের আগে আমাদের সব সময় চিন্তা করতে হয়। পরের ম্যাচের জন্য আমাদের সময় আছে। আমরা তাঁর অবস্থা দেখব। সাকিবের হাতের ব্যথা নিয়ে অনেক আলোচনা হয়েছে, কিন্তু আমরা ফিজিওর ১০০ শতাংশ ক্লিয়ারেন্স নিয়ে তাঁকে দলে রেখেছি। তখন তিনি পুরোপুরি ফিট ছিলেন। পরবর্তী ম্যাচের আগে আমরা বিষয়টি পুনরায় মূল্যায়ন করব।”
চেন্নাই টেস্টে আঙুলের চোটের কারণে সাকিব সঠিকভাবে বোলিং করতে পারেননি এবং মূলত ব্যাটার হিসেবে খেলেছেন। তিনি ব্যাটিংয়ে ভালো শুরু করলেও ইনিংস বড় করতে পারেননি। কানপুর টেস্টে শুধুমাত্র ব্যাটার বা বোলার হিসেবে খেললেও সাকিবকে দলে রাখতে চায় টিম ম্যানেজমেন্ট। তবে যদি তিনি কোনটিও করতে না পারেন, তাহলে বিষয়টি ভিন্ন হবে বলে জানিয়েছেন হান্নান।
তিনি বলেন, “সাকিব এমন একজন প্লেয়ার, যদি সে মনে করে বোলিং করতে পারবে না, তাহলে ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলতে পারে। কিন্তু যদি কোন কিছুই করতে না পারে, তাহলে সিনারিও ভিন্ন।” সময় রয়েছে, তাই আমরা পরে সিদ্ধান্ত নেব।
চেন্নাই টেস্টে পর পরবর্তী ম্যাচে একাধিক বাঁহাতি ব্যাটারের উপস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে, এবং টপ অর্ডারে বড় ইনিংস খেলতে না পারাকেও দুষছেন বিশ্লেষকরা। কানপুর টেস্টে একাদশে পরিবর্তন আসবে কিনা, তা কন্ডিশন অনুযায়ী নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন হান্নান সরকার।