বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) প্লেয়ার্স ড্রাফটের আজকের আয়োজন ঘিরে উত্তেজনা তুঙ্গে। দেশের অন্যতম জনপ্রিয় লিগের জন্য দলগুলো প্রস্তুতি নিচ্ছে শক্তিশালী স্কোয়াড গঠনের লক্ষ্যে। ঢালিউডের সুপারস্টার শাকিব খান এবার ঢাকার ফ্র্যাঞ্চাইজি ঢাকা ক্যাপিটালসের মালিকানায় রয়েছেন, যা বিপিএলকে আরও বেশি আকর্ষণীয় করে তুলেছে। তার সঙ্গে ড্রাফটে অংশ নিচ্ছেন অভিনেতা মামনুন ইমন, যারা একসঙ্গে ফ্র্যাঞ্চাইজির হয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন।
প্লেয়ার্স ড্রাফটে মোট ৪৪০ জন বিদেশি ক্রিকেটার তাদের নাম নিবন্ধন করেছেন, যাদের মধ্যে ৬ জন ইতোমধ্যেই সরাসরি চুক্তিতে দল পেয়ে গেছেন। আজকের ড্রাফটে বাকি ৪৩৪ জন বিদেশি ক্রিকেটার থেকে দলগুলো তাদের প্রয়োজনীয় খেলোয়াড় বেছে নেবে। প্রতিটি দল চেষ্টা করবে সেরা ক্রিকেটারদেরকে দলে নিয়ে নিজেদের স্কোয়াডকে শক্তিশালী করার জন্য।
দেশি ক্রিকেটারদের জন্যও ড্রাফট বেশ প্রতিযোগিতামূলক। স্থানীয় খেলোয়াড়দের মোট ৬টি ভিন্ন ক্যাটাগরিতে ভাগ করা হয়েছে, যা তাদের পারফরম্যান্স এবং অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে নির্ধারণ করা হয়েছে। ‘এ’ ক্যাটাগরির ক্রিকেটাররা থাকছেন শীর্ষে, যারা পাবেন প্রতি জন ৬০ লাখ টাকা। এরপর ক্রমান্বয়ে বি, সি, ডি, ই এবং এফ ক্যাটাগরির ক্রিকেটারদের সম্মানী নির্ধারণ করা হয়েছে যথাক্রমে ৪০ লাখ, ২৫ লাখ, ২০ লাখ, ১৫ লাখ এবং ১০ লাখ টাকা।
প্লেয়ার্স ড্রাফটে প্রথম দফায় সবার আগে খেলোয়াড় ডাকার সুযোগ পেয়েছে দুর্বার রাজশাহী। দলটি ‘এ’ ক্যাটাগরি থেকে নিয়েছে পেসার তাসকিন আহমেদকে।
খেলোয়াড় কেনায় প্রথম সুযোগ ছিল দুর্বার রাজশাহীর, এরপর ঢাকা ক্যাপিটালসের। নতুন মালিকানার দলটি ক্যাটাগরি ‘এ’ থেকে নিয়েছে উইকেটকিপার–ব্যাটসম্যান লিটন কুমার দাসকে। এরপর মাহমুদউল্লাহকে নেওয়ার সুযোগ ছিল চট্টগ্রাম, খুলনা, রংপুর ও সিলেটের সামনে। তবে এই দলগুলো নিয়েছে অন্যদের। শেষ পর্যন্ত মাহমুদউল্লাহকে দলে নিয়েছে ফরচুন বরিশাল। গত বছরও এই দলে খেলেছিলেন তিনি।
অর্থ্যাৎ, টানা দ্বিতীয় আসরে একসঙ্গে খেলবেন তামিম ইকবাল, মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহ।