এখনও মুস্তাফিজুর রহমানকে দলে ধরে রাখার সুযোগ আছে চেন্নাই সুপার কিংসের সামনে। আইপিএলের মেগা নিলাম এ মাসে। তার আগে প্রতিটি দলকে সুযোগ দেওয়া হয় ৬ জন ক্রিকেটারকে দলে ধরে রাখার। কেউ কেউ এই সুযোগ কাজে লাগালেও চেন্নাই সুপার কিংস রিটেইন করেছে ৫ ক্রিকেটারকে। তবে নিলামের দিন রাইট টু ম্যাচ নিয়ম কাজে লাগিয়ে নিলামের দামেই আরও একজন ক্রিকেটারকে দলে নেওয়ার সুযোগ আছে দলটির সামনে। আর সে নিয়ম কাজে লাগিয়ে একজন বিদেশি ক্রিকেটারকে দলে ভেড়াতে চাচ্ছে চেন্নাই।
তবে কে হবেন সেই বিদেশি ক্রিকেটার, তা নির্ধারণে বেশ ভাবতে হচ্ছে পাঁচবারের চ্যাম্পিয়ন দলটির ম্যানেজমেন্টকে। গত মৌসুমে চেন্নাইয়ের জার্সিতে বল হাতে জাদু দেখিয়েছেন কাটার মাস্টার খ্যাত বাংলাদেশি পেসার মুস্তাফিজুর রহমান। শ্রীলঙ্কার মাহিশ থিকশানাও ভালো করেছিলেন, রিটেনশন লিস্টে তার নামও দেখা যায়নি। আছেন নিউজিল্যান্ডের আরও ২ ক্রিকেটার- ডেভন কনওয়ে ও রাচিন রবীন্দ্র।
তবে মুস্তাফিজ, থিকশানা বা রাচিন নয়, আরটিএম কার্ডে চেন্নাইয়ে ফিরে আসার সম্ভাবনা বেশি মূলত কনওয়ের। ২০২২ সালে কনওয়ে জায়গা পান চেন্নাইয়ে। এরপর ২০২৩ সালেও খেলেছেন হলুদ জার্সিতে। তবে ২০২৪ সালে বাঁধ সাধে চোট। আগের দুই আসরে ভালো করা, বিশেষত ২০২৩ আইপিএল জেতানো কনওয়ের অনুপস্থিতি দলকেও ভোগায়। প্লে-অফে উঠতে ব্যর্থ হন মহেন্দ্র সিং ধোনিরা।
রাচিন, থিকশানা ও মুস্তাফিজের তাই চেন্নাইয়ে ফেরার সম্ভাবনা ক্ষীণ বলা যায়। তবে সুযোগ যে একেবারেই নেই, তা-ও নয়। বিশেষ করে শেষ মুহূর্তে যদি চেন্নাইয়ের দল নিয়ে ভাবনাচিন্তা বদলে যায় এবং কোনো পেসারের প্রয়োজন হয়, তাহলে মুস্তাফিজকে দলে ফেরাতেও পারে রাইট টু ম্যাচ নিয়ম ব্যবহার করে।
ভারতের স্পিন বান্ধব কন্ডিশনে মুস্তাফিজের কাটার এবং স্লোয়ার ভীষণ কার্যকরী। গত মৌসুমের প্রথম ম্যাচে চেন্নাইকে রয়েল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর বিপক্ষে দারুণ এক জয় এনে দেন ফিজ। ৪ উইকেট শিকার করে বাগিয়ে নেন পার্পল ক্যাপ। টুর্নামেন্ট চলাকালে আরও একাধিকবার পার্পল ক্যাপের মালিক বনে যান তিনি। যদিও জাতীয় দলের খেলার কারণে খেলা হয়নি পুরো আসর।
মুস্তাফিজকে যদি চেন্নাই না-ও রিটেইন করে, তারপরও নিলামে তাকে নিয়ে অনেক দলের আগ্রহ থাকতে পারে। শেষপর্যন্ত আইপিএলের ১৮তম আসরে কোন দলে তার ঠাই হয়, তা-ই এখন দেখার বিষয়।