আইসিসির সর্বশেষ প্রকাশিত ওয়ানডে বোলিং র্যাংকিংয়ে শীর্ষে উঠেছেন পাকিস্তানের শাহীন আফ্রিদি। বাংলাদেশের মেহেদী হাসান মিরাজ, মুস্তাফিজুর রহমান, নাসুম আহমেদ এগিয়েছেন। তবে পিছিয়ে গেছেন শরিফুল ইসলাম।
অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ জিতে ফুরফুরে মেজাজে আছে পাকিস্তান দল। মাত্র ১২.৬২ বোলিং গড়েই তিন ম্যাচে আটটি উইকেট শিকার করেছেন শাহীন। এই দুর্দান্ত পারফরম্যান্সই তাকে শীর্ষে এনে বসিয়েছে। শাহীনের রেটিং এখন ৬৯৬।
যথারীতি দ্বিতীয় স্থানে আছেন আফগানিস্তানের রশিদ খান। শাহীনের কাছে জায়গা হারিয়েছেন কেশব মহারাজ। এক থেকে তিনি নেমে গেছেন তিনে। এক ধাপ পিছিয়ে চারে নেমেছে কুলদীপ যাদব। জাসপ্রীত বুমরাহ, ট্রেন্ট বোল্ট ও মোহাম্মদ সিরাজ প্রত্যেকেই দুই ধাপ করে এগিয়েছেন। ফলে পাঁচ ধাপ নিচে নেমে গেছেন অ্যাডাম জাম্পা।
বুমরাহ আছেন ষষ্ঠ স্থানে। বোল্ট ও সিরাজ সমান রেটিং নিয়ে আছেন সপ্তম ও অষ্টম স্থানে। তবে জশ হ্যাজলউড তিন ধাপ পিছিয়ে নেমেছেন দশম স্থানে।
বাংলাদেশি বোলারদের মধ্যে সবার উপরে আছেন মেহেদী হাসান মিরাজ। দক্ষিণ আফ্রিকার লুঙ্গি এনগিডি ও ভারতের রবীন্দ্র জাদেজার সমান ৫৫৬ রেটিং নিয়ে ২৪তম স্থানে আছেন মিরাজ। আফগানিস্তানের সিরিজের পারফরম্যান্সে ৯ ধাপ এগিয়ে ২৪তম স্থানে উঠেছেন তিনি।
অপরদিকে শরিফুল ইসলাম ২৪তম স্থান থেকে ১০ ধাপ পিছিয়ে নেমে গেছেন ৩৪তম স্থানে। তার রেটিং ৫২৩। তবে উন্নতি হয়েছে মুস্তাফিজুর রহমানের। ছয় ধাপ এগিয়ে মুস্তাফিজ এখন ৩৭তম স্থানে। এক ধাপ এগিয়ে তাসকিন আছেন ৩৯তম স্থানে।
বাংলাদেশি বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে বড় লাফটি দিয়েছেন নাসুম আহমেদ। আফগানদের বিপক্ষে দুইটি ম্যাচ খেলেই ৪৯ ধাপ এগিয়ে সেরা একশতে ঢুকেছেন তিনি। ৪২৮ রেটিং নিয়ে নাসুমের অবস্থান এখন ৭২তম স্থানে।
ওয়ানডে বোলিং র্যাংকিংয়ে ব্যাপক রদবদল হলেও ব্যাটিং র্যাংকিংয়ের শীর্ষ আটে কোনো পরিবর্তন আসেনি। যথারীতি শীর্ষে আছেন বাবর আজম। আটে আছেন আফগানিস্তানের রহমানউল্লাহ গুরবাজ।
বাংলাদেশি ব্যাটারদের মধ্যে শীর্ষে আছেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। ১১ ধাপ এগিয়ে শান্তর অবস্থান এখন ২৪তম স্থানে। রেটিং পয়েন্ট পাকিস্তানের অধিনায়ক মোহাম্মদ রিজওয়ানের সমান ৬০৪।
মুশফিকুর রহিম পিছিয়ে গেছেন সাত ধাপ। ইঞ্জুরির জন্য ২২ গজ থেকেও ছিটকে গেছেন মুশফিক। সাত ধাপ পিছিয়ে মুশফিকের অবস্থান এখন ৩০তম। তবে দশ ধাপ এগিয়েছেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। আছেন ৪৪ তম অবস্থানে।
আফগানিস্তান সিরিজে খেলতে না পারা লিটন দাস ৮ ধাপ পিছিয়ে নেমে গেছেন ৬৪তম স্থানে। পুরো সিরিজে ফ্লপ যাওয়া তাওহীদ হৃদয় ছয় ধাপ পিছিয়ে নেমেছেন ৭৬তম স্থানে। তবে ৮ ধাপ এগিয়ে সৌম্য সরকার এসেছেন ৮৫তম স্থানে।