বিপিএল দিয়েই ভক্ত-সমর্থকদের নজরে এসেছিলেন মেহেদী হাসান রানা। ২০১৯ সালে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের হয়ে আলো ছড়িয়েছিলেন এই পেসার। পরবর্তীতে ইনজুরিতে পড়ে আড়ালে চলে গিয়েছেন। এমনকী শেষ দুই বছরে খেলতে পারেননি জাতীয় ক্রিকেট লিগেও (এনসিএল)। তবে সদ্য সমাপ্ত আসরের শেষ সময়ে খেলার সুযোগ পেয়েছিলেন রানা।
নিজ বিভাগ চট্টগ্রামের হয়ে নয়, খেলার সুযোগ পেয়েছেন খুলনা বিভাগের হয়ে। রংপুরের বিপক্ষে শেষ ম্যাচের প্রথম ইনিংসে একাই নিয়েছিলেন ৭ উইকেট। পরে শেষ দিনে দ্বিতীয় ইনিংসে নিয়েছিলেন ৪ উইকেট। সবমিলিয়ে ২ ম্যাচে ১৯ উইকেট যা অতিমানবীয়।
ঢাকা পোস্টের সঙ্গে আলাপকালে জানালেন নিজের অনুভূতি। রানা বলছিলেন, ‘আমার কাছে কেমন লাগছে বিষয়টা থেকে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে যদি ম্যাচটা জিততে পারতাম, তাহলে বেশি ভালো লাগতো। যদি ব্যক্তিগত লক্ষ্যের কথা বলেন তাহলে আমার জন্য এই মুহূর্তে একটা বড় পাওয়া বলব।’
শেষ ১০ বছর খেললেন চট্টগ্রামে এবার খুলনাতে কেন, জবাবে রানা জানালেন বাস্তবতার কথা, ‘চট্টগ্রাম বিভাগের কথা যদি বলি সেখানে নতুন কিছু পেস বোলার আসছে। তারা অনেক ভালো, সেখানে তিনজন পেসার আছে ভালো খুব। শেষ দশ বছর ধরে আমি চিটাগাং দলে খেলে আসছি। তবে শেষ দুই বছর প্রথম শ্রেণী ক্রিকেটে আমার খুব বাজে সময় গিয়েছে। ইনজুরি সবমিলিয়ে আসলে মোটামুটি দুইটা বছর আমি খেলতে পারিনি।’
‘গেল বছর চট্টগ্রাম ডিভিশন টায়ার ওয়ান চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। সেখানে ভালো করেছিল পেসাররা, তাদের অবদান রয়েছে। আমি সুযোগ পাইনি, তারপর যখন এবার তিন-চার ম্যাচ হয়ে গেল তখন খুলনার মিঠুন ভাই আমাকে ফোন দিয়েছিল। তারপরে আমাকে খেলার জন্য প্রস্তাব দেয়। আমাকে বলে যে আমি ছাড়পত্র নিতে পারব কি না। পরে আমি ছাড়পত্র নিয়ে চলে আসি। আলহামদুলিল্লাহ প্রথম ম্যাচ খেলায় ম্যান অব দ্যা ম্যাচ হয়েছিলাম।’- বলেন রানা।
খুলনার ড্রেসিংরুমে কতটা মানিয়ে নিতে পারলেন জবাবে রানার সোজাসাপ্টা উত্তর, ‘একজন ক্রিকেটার হিসেবে সব জায়গায় মানিয়ে নিতে হবে। এক একটা দলের পরিবেশ একেক রকম থাকে। তো এখানে ভালো লাগছে এসে, সবাই পরিচিত আছে সমস্যা নেই।’