সর্বশেষ

মালিকের স্ত্রী ব্যাংককে, যে কারণে দেরিতে খেলোয়াড়দের পারিশ্রমিক

দুর্বার রাজশাহীর খেলোয়াড়দের পারিশ্রমিকের ইস্যুতে গতকাল দিনভর সরগরম ছিল দেশের ক্রিকেটপাড়া। দেশের ঘরোয়া ক্রিকেটের সর্বোচ্চ আসরে আরও একবার দেখা গেল পারিশ্রমিক না দেয়ার ঘটনা। আর সে কারণে নিজেদের নির্ধারিত অনুশীলনও বাতিল করেছে দুর্বার রাজশাহীর খেলোয়াড়রা।

যদিও সন্ধ্যার পর থেকে খেলোয়াড়দের সঙ্গে বৈঠকের পর পারিশ্রমিক ইস্যুতে সমাধানের আশ্বাস দিয়েছে দুর্বার রাজশাহী ফ্র্যাঞ্চাইজি। এমনকি সেই আশ্বাসের প্রেক্ষিতে আজ বৃহস্পতিবার অনুশীলনও শুরু করেছে তারা। তবে ঠিক কী কারণে এই পারিশ্রমিকে বিলম্ব– সেই উত্তরও খুঁজেছেন সবাই। ফ্র্যাঞ্চাইজির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, দুর্বার রাজশাহীর মালিকের স্ত্রী দেশে না থাকায় এই জটিলতার শুরু।

গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে অপারেশন ইনচার্জ জায়েদ আহমেদ জানান, দুর্বার রাজশাহীর মালিকের স্ত্রী ডাগআউটের পাশে বসে খেলা দেখার সময় বলের আঘাতে ইনজুরির শিকার হন। পরে তৎক্ষণাৎ ব্যাংকক যেতে হয় দলের মালিককে। মালিক দেশে না থাকায় চেক বাউন্স করেছে।

জায়েদ বলছিলেন, ‘চেক বাউন্সের যে ইস্যুটা ছিল, আমরা চেক দিয়েছিলাম সিলেটে। আপনারা জানবেন যে ঢাকায় আমাদের শেষ ম্যাচে মালিকের স্ত্রীর গায়ে একটা বল লেগেছিল এবং হাড়ে চিড় ধরা পড়ে। তাৎক্ষণিকভাবে তাকে ব্যাংকক নিয়ে যেতে হয়েছিল। ফোনে ব্যাংক ক্লিয়ারেন্সের ব্যাপার থাকে। মালিককে ফোনে পাবে না, তাই আমরা আগেরদিনই খেলোয়াড়দের জানিয়ে দিয়েছিলাম তোমরা চেকগুলো জমা দিও না।’

‘এটা প্রায় সব ক্রিকেটারকে জানিয়েছিলাম, এরমধ্যে হয়ত দু-একজন জমা দিয়ে ফেলেছিল। পরে বলেছে ভাইয়া তথ্যটা আমাদের কাছে ছিল না, আমরা মিস করে গেছি। অসুবিধা নেই ভাইয়া, এটা যখন আসবে তখন আমরা ম্যানেজ করে নিব। এতটুুকুই ছিল ব্যাপার কিন্তু সবার কাছে চেক দেয়া আছে ২৫ শতাংশের। আর বিদেশি যারা ক্রিকেটার বা কোচিং স্টাফ আছে তাদের ইতোমধ্যে ২৫ শতাংশ দিয়ে ফেলেছি।’ –যোগ করেন এই কর্মকর্তা।

এদিকে আজ বৃহস্পতিবার বিকেলের মাঝেই খেলোয়াড়দের পারিশ্রমিক দেয়ার কথাও জানিয়েছে তারা, ‘পেমেন্টের ব্যাপারে ইতোমধ্যে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আগামীকাল ১৬ তারিখ বিকেল বা দুপুরের পর পর আমরা পেমেন্টগুলো দিয়ে দেব। সে অনুযায়ী আমরা ম্যানেজমেন্ট কাজ করছি এবং প্রতিটা ক্রিকেটারই জানে।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *