সর্বশেষ

বাজার মাতাচ্ছে কমলা-হলুদ-বেগুনী রঙ্গের ফুলকপি

খাইতে সুস্বাদু ও পুষ্টিগুণে ভালো হওয়ায় দিন দিন নতুন এই জাতের ফুলকপির প্রতি আগ্রহ ও চাহিদা বাড়ছে মানুষের। সাদা রঙ্গের ফুলকপির তুলনায় কেজিতে ৪০-৫০ টাকা বেশি হলেও বাজারে আসামাত্রই দ্রুত বিক্রি হয়ে যাচ্ছে।




তবে চাহিদা থাকলেও পর্যাপ্ত জোগান না থাকায় অনেকেই হতাশ হয়ে ফিরে যাচ্ছেন বলে জানান স্থানীয়ভাবে খুচরা ও পাইকারী সবজি বিক্রেতা। সাদা রঙ্গের ফুলকপি দেখতে মানুষ অভ্যস্ত হলেও শরীয়তপুরের স্থানীয় বাজারে এখন পাওয়া যাচ্ছে হলুদ ও বেগুনি রং এর ফুলকপি।

শরীয়তপুর জেলার জাজিরা উপজেলার জয়নগর ইউনিয়ন চরখোরাতলা গ্রামের কৃষক আব্দুর রাজ্জাক ভুইয়া রঙিন জাতের এই ফুলকপির চাষ করেন। স্থানীয় বেসরকারি উন্ননয়ন সংস্থা এসডিএস’র সমন্বিত কৃষি ইউনিটের আওতায় তিনি প্রথমবার হলুদ ও বেগুনি রঙ্গের ফুলকপি চাষ করেন।




এই বছর পরীক্ষামূলকভাবে তিনি তাঁর ১০ শতক জমিতে প্রায় ১০০০ টি রঙিন জাতের ফুলকপির চারা রোপন করেন। বাজারে এক একটি হলুদ ফুলকপি ১০০-১২০ টাকা কেজি হিসেবে বিক্রি হচ্ছে। চারা রোপনের ৬৫ দিনের মধ্যে হলুদ জাতের ফুলকপি বিক্রি উপযুক্ত হয়।

সবজি চাষী আব্দুর রাজ্জাক জানান, হলুদ বা বেগুনি জাতের ফুলকপি চাষ করার জন্য আলাদা কোন জ্ঞানের প্রয়োজন নেই। সাদা ফুলকপি যেভাবে চাষ করতে হয় সেভাবে হলুদ ফুলকপিও চাষ করা যায়। এবার প্রথমবার আমি এসডিএস’র খাজি আলম ভাইয়ের সহায়তায় ১০ শতক জমিতে এই ফুলকপি চাষ করি। এতে আমার প্রায় ১০ হাজার টাকা খরচ হয় আর আমি ফুলকপি বিক্রি করেছি প্রায় ৫০ হাজার টাকা।




সবমিলে ১০শতক জমিতে ফুলকপি করে আমার প্রায় ৪০ হাজার টাকার মতো লাভ হয়েছে। প্রতিদিন দূর দূরান্ত থেকে ফুলকপির ক্ষেত দেখতে অনেক মানুষ আসে। আগামী বছর আরও ব্যাপকভাবে হলুদ রঙের এই ফুলকপির চাষ করতে চাই আমি। বাজারে চাহিদা বেশি থাকায় দ্রুতই আমার ক্ষেতের ফুলকপি শেষ হয়ে গেছে।

খোরাতলা গ্রামের আরেক সবজি চাষী শাহাজাহান মাদবর বলেন, হলুদ ফুলকপি দেখতে অনেক সুন্দর এবং বাজারেও এর চাহিদা বেশি। সাদা ফুলকপির তুলনায় বাজারে হলুদ রঙের এক একটি ফুলকপি ৩০-৪০ টাকা কেজিতে বেশি বিক্রি হচ্ছে। এসডিএস বীজ দিয়ে সহযোগিতা করলে আগামী বছর এ জাতের ফুলকপির চাষ করার ইচ্ছা আছে আমার।




এসডিএস এর কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মোঃ খাজি আলম বলেন, পিকেএসএফ এর সমন্বিত কৃষি ইউনিটের সহযোগিতায় এ অঞ্চলে ব্রোকলি, লেটুস, রেড বিট, রেড ক্যাবেজ, স্কোয়াস, ক্যাপসিকামের চাষ করা হচ্ছে।

এ বছর সর্বপ্রথম আব্দুর রাজ্জাক ভুইয়াকে হলুদ ও বেগুনি রঙ্গের ফুলকপির বীজ দেওয়া হয়। হলুদ ফুলকপি বিক্রি শেষ হলেও বেগুনি ফুলকপি বিক্রি হতে আরো সাত দিন সময় লাগবে। বাজারে ব্যাপক চাহিদা থাকায় আমরা আশা করছি, আগামীতে এ অঞ্চলে রঙিন ফুলকপির চাষ ব্যাপকভাবে সম্প্রসারণ হবে। আমরা কৃষককে ফুলকপি চাষে সবধরনের পরামর্শ দিয়ে থাকি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *