সর্বশেষ

ঘন অরণ্যের মধ্যে সঙ্গমে লিপ্ত দুই বিষধর সাপ, ভিডিও দেখে শিউরে উঠল নেটিজেনরা

দুই বিশালাকার কোবরা সাপের রোমান্সে আপ্লুত সোশ্যাল মিডিয়া। সাপেদের মিলন মুলত শীতেই দেখা যায়। তবে সোশ্যাল মিডিয়া ছাড়া এরকম বিরল দৃশ্যের সঙ্গে পরিচয় হওয়া খুবই মুশকিল! কারণ সাপ মাত্রই ভয়ঙ্কর, তাই সাপের সামনে গিয়ে এসব দৃশ্য পরখ করা খুবই মুশকিল।




পুরা কথা অনুযায়ী সাপে-সাপে রোমান্সকে শঙ্খ লাগা বলে! যা দেখা নাকি অত্যন্ত শুভ। তবে সাপেদের রোমান্স দেখার সুযোগ সবসময় পাওয়া যায় না। বিশালাকার কোবরা সাপের রোমান্স গভীর জঙ্গল ছাড়া কোথাও হওয়া সম্ভব নয়। সৌভাগ্য থাকলে রাস্তায় দেখতে পাওয়া যায় সাপেদের রোমান্স।




হ্যাঁ, সম্প্রতি এমনই একটি দৃশ্য দেখার সুযোগ করে দিল সোশ্যাল মিডিয়া। সম্প্রতি একটি জনপ্রিয় ইউটিউব চ্যানেল থেকে ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, খোলা আকাশের নিচে দুটি রাসেল ভাইপার সাপ যৌন মিলনে লিপ্ত হয়েছে। প্রথা অনুযায়ী সাপেদের শঙ্খ লাগা দৃশ্য দেখে অনেকেই গামছা বা নতুন কাপড় ছুঁড়ে দেয়।




ভাবা হয়, যার কাপড়ে শঙ্খ লাগা অবস্থায় সাপ উঠবে তাঁদের ঘরে ধন-সম্পদ বেড়ে যাবে। মনোবাঞ্ছনাও পূরণ হবে। তবে এই ভিডিও দেখে রীতিমতো শিউরে ওঠেন সকলেই। রাসেল ভাইপার সাপ (Russell Viper) খুবই ভয়ানক ও বিষ যুক্ত হয়। সম্প্রতি ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, একটি গ্রামের ধানের গোলা ও ঝোপ ঝারের মধ্যে দুটি রাসেল ভাইপার সাপ সঙ্গমে লিপ্ত হয়েছে। আর তা দেখা মাত্রই সেখানকার গ্রামবাসীরা সাপ উদ্ধারকারী মির্জা মহম্মদ আরিফকে খবর দিয়েছেন।




তিনি এসে সঙ্গম অবস্থাতেই দুটি সাপকে উদ্ধার করলেন। উদ্ধার করার সময়, মির্জা বলেন এই ভাইপার সাপ খুবই বিষযুক্ত হয়। এই সাপ যেকোনও মানুষকে কামড়ালে আর রক্ষা নেই। এরপর তিনি খুব সাবধানে ব্যাগের মধ্যে সাপ দুটিকে ভরে চলে গেলেন। সম্প্রতি এই ভিডিওটি আপলোড করা হয়েছে।

যাতে এখনও পর্যন্ত কয়েক হাজার ভিউজ অতিক্রম করেছে। শঙ্খচূড়, রাজ গোখরা মূলত বিশালাকার সাপ হয়। দক্ষিণ এশিয়ার বনাঞ্চল দেখা যায় এই জাতীয় সাপকে। এরা সম্পূর্ণ আলাদাগণের সাপ হয়। এই সাপের আকার এবং ফণার পেছনের অংশ গোখরার থেকে একটু আলাদা হয়। এই সাপের খাদক মুলত, ইঁদুর, সাপ, এবং ছোট আকৃতির অজগর। এই সাপের বিষ মূলত নিউরোটক্সিক অর্থাৎ এটির বিষ আক্রান্ত প্রাণীর স্নায়ুতন্ত্রে আক্রমণ করে। যার ফলে তৎক্ষণাৎ সেই প্রাণীর মৃত্যু হয়!

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *