ভারতীয় সমুদ্রে একেবারে উপকূলবর্তী অঞ্চল হওয়ায় বাংলাদেশ বঙ্গোপসাগরে বিপুল পরিমাণ সামুদ্রিক সম্পদের অধিকারী। বাংলাদেশের প্রায় ৪১,০০০ বর্গমাইল (১,১০,০০০ কিমি২) এর অর্থনৈতিক অঞ্চল রয়েছে, যা দেশটির আয়তনের ৭৩%। অন্যদিকে বিপুল পরিমাণ জনসংখ্যাসম্পন্ন বাংলাদেশ একটি ক্ষুদ্র ও উন্নয়নশীল দেশ। পূর্বে বাংলাদেশের মানুষেরা স্থলজ আমিষের উপর অধিক নির্ভরশীল ছিল।
কিন্তু শিল্পায়ন ও নগরায়নের ক্রমাগত প্রক্রিয়া সীমিত স্থল এলাকাই অধিগ্রহণ করে ফেলছে। তাই এখন বিস্তৃত বঙ্গোপসাগরের সমুদ্রগর্ভে উৎপাদিত আমিষ ছাড়া দেশটির চাহিদা পূরণের খুব বেশি উপায় অবশিষ্ট নেই। বাংলাদেশীদের খাবারের ৮০ শতাংশের বেশি আমিষ আসে মাছ থেকে।
১৯৭০অর্থবছরে মোট জাতীয় উৎপাদনের ৬শতাংশ আসে মৎস্যখাত থেকে, যা তৎকালীন আধুনিক শিল্প উৎপাদনের থেকে প্রায় ৫০ শতাংশ বেশি। অধিকাংশ বাণিজ্যিক মাৎস্যজীবীরাই নিম্নবর্ণের হিন্দু যাঁরা অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার জন্য আদিম এবং বিপজ্জনক সব শর্তের অধীনে কাজ করে থাকে।তাঁরা তাঁদের কাজে অনেক বেশি দক্ষ ও উদ্ভাবনী।
তাঁদের কিছু অংশ আবার বুদ্ধদেব সাহায্য নিয়ে থাকেন, যেগুলো পানির নিচে সাঁতার কেটে, মৎস্যজীবীদের জালের অভিমুখে মাছ তাড়িয়ে নিয়ে এসে (অবশ্য তারা পুরস্কার হিসেবে শিকারের কিছু অংশ পেয়ে থাকে) অনেকটা রাখালের মতো দায়িত্ব পালন করে থাকে।
স্থানীয় চাহিদা পূরণে সাধারণত মিঠাপানির মাছই বেশি ব্যবহৃত হয়। বাঙালি নামটা পূর্ণতা পায় মাছের মাধ্যমে। কারণ মাছ ছাড়া বাঙালির চলে না।মাছে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে আমিষ ও প্রোটিন। আমাদের দেহের আমিষ সু গঠিত এ ঘাটতি মেটাতে অনেকাংশে সাহায্য করে মাছ।বাঙালি মাছ ধরার কৌশল গুলো অসাধারণ।কারণ তারা প্রতিনিয়ত তারা মাছ ধরার কৌশল আশল গুলো যায় যেটা প্রয়োগ করে না কেন মাছ তাদের ফাঁদে পা ফেলে দেয়।
কারণ মাছের ফাঁদ গুলো অসাধারণ এবং কার্যকরী। মাছ ধরার বিভিন্ন ধরনের কৌশল রয়েছে।আর প্রতিটি কৌশল গুলোবিষ্কার করে।তাদের মাছ ধরার কৌশল দেখলে সত্যিই মুগ্ধ হওয়ার মত। সবচেয়ে বেশি মজার কথা হচ্ছে তারা মাছ ধরার কৌ কার্যকর।তাই আমরা আজ আপনাদের কাছে এমন একটি মাছ ধরার কৌশল নিয়ে এসেছি যা অনেক কার্যকর। আর এই মাছ ধরার ভিডিওটি ইন সোশ্যাল মিডিয়াতে প্রচুর পরিমাণে ভাইরাল হয় এবং এ মাছ ধরার ভিডিও টি দেখে অনেকের এভাবে মাছ ধরে সাফল্য পেয়েছে।মাছ ধরার কৌশল কি হচ্ছে।
প্রথমে কয়েকটি বসি নিতে হবে। এরপর সেই বড়শিতে আটা বসিতে গেঁথে দিতে হবে।আটা বলতে আমরা রুটি খাওয়ার জন্য যেভাবে আটা মিশিয়ে থাকি? এগুলো বড়শিতে গেটে একটি বোতলে কিছু শিখিয়ে নিতে হবে। এরপর নদীর ধারে একটি বাঁশের খুঁটি গেঁথে নিতে হবে।
এখন সেই বর্ষা নদীর মাঝে ছুড়ে দিয়ে এবং অন্য প্রান্তে বাসের মধ্যে বেঁধে নিতে হবে। এখন মাছ টুপ গিলার পালা। নদীর ধারে বসে অপেক্ষা করতে হবে।এরপর যখন মাস্তু গিলে ফেলবে ঠিক তখনই দড়ি ধরে টেনে মাছ ধরার চেষ্টা করতে হবে। আপনি প্রথমবার চেষ্টা করলেও যদি হেরে যান তাহলে চিন্তার কোন কারণ নেই। কারণ এরপর এবার আপনি মাছ ধরতে পারবেন। কারণ একবার না একবার মাছ টোপটি টি ভালো করে নিজের মুখে গেঁথে নিবে।
এভাবে বেশ কয়েকবার চেষ্টা করার পর আপনি বড় মাছ ধরতে পারবেন এটা একদম সত্যি।ভিডিওতে থাকা ক্ষুদে বালকটির কয়েকবার চেষ্টা করার পর দুইটি মাছ ধরা পরেছে। মাছ গুলো বেশ ভালই বড় প্রায় ৪ থেকে ৫ কেজি ওজনের হবে।আটার মাধ্যমে মাছ ধরার এ পদ্ধতিটি সত্যিই অসাধারণ ছিল। ফেলে দেওয়া এবং প্রণালীর মাধ্যমে যে এত বড় মাছ ধরা যায় তা সত্যিই অকল্পনীয়।অকল্পনীয় হলেও সত্য যে বিলের মধ্যে বিরাট বড় মাছ ধরা যায়।লোকটির কায়দা ছিল সত্যিই অসাধারণ। সাধারণত এ ধরনের কায়দা ব্যবহার করে গ্রাম্য ছেলেরা।